









ঘরের এক কোণে ছোট্ট একটি চৌকিতে পড়ে আছে ম’রদেহ। দিনভর রোদে পুড়ল আর বৃষ্টিতে ভিজল। তবু আশপাশে নেই স্ত্রী’-সন্তান কিংবা প্রতিবেশী। করো’না ভেবেই ভ’য়ে কেউ কাছে আসেনি। বুধবার এমনই ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজে’লার ওসমানপুর ইউপির সাহেবপুর গ্রামের কালামিয়া বক্সের বাড়িতে।





দীর্ঘদিন কুয়েতে থাকার পর দুই বছর ধরে পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে থাকতেন কালামিয়া বক্সের বাড়ির সালেহ আহম্ম’দ। সেখানেই তিনি মঙ্গলবার রাতে মা’রা যান। পরে তার ভাই নূর আহম্ম’দ লা’শ গ্রামে নিয়ে এলেও সঙ্গে আসেননি স্ত্রী’-সন্তান।





এছাড়া লা’শ আনার পর করো’না ভেবে বাড়ির আশপাশের লোকজনও পাশে ঘেঁষেননি। শেষ পর্যন্ত এগিয়ে এলো ‘শেষ বিদায়ের বন্ধু’ নামে একটি সংগঠন। করো’না পরিস্থিতিতে গঠিত এ সংগঠনের সদস্যরা সালেহ আহম্ম’দের দাফন সম্পন্ন করেছেন।





জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন সালেহ আহম্ম’দ। এর মধ্যে তার ভাইয়ের ছে’লের এক পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এ নিয়ে সবাই হাসপাতা’লে ব্যস্ত থাকায় বাসায় একাই ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে তিনি মা’রা যান।





ভাইয়ের মৃ’ত্যুর খবরে ছুটে আসেন নূর আহম্ম’দ। কিন্তু স্ত্রী’, ভাতিজারা কেউ লা’শের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি যেতে রাজি হননি। বুধবার ভোরে অ্যাম্বুলেন্সে ভাইয়ের লা’শ নিয়ে একাই শহর থেকে ফিরেন নূর আহম্ম’দ। গ্রামে আসার পর বড় বিপত্তি। লা’শের সঙ্গে পরিবারের কেউ না আসায় বাড়ির কোনো লোকও এগিয়ে আসছে না।





গ্রামবাসী তো দূরের কথা, উল্টো গ্রামে লা’শ দাফন করতে বাধা দিচ্ছে তারা। এভাবেই কে’টে গেল সারাদিন। এরমধ্যে বৃষ্টিতে ভিজে আর রোদে শুকিয়ে একাকার সালেহ আহম্ম’দের লা’শ।বিষয়টি ইউএনওকে জানান স্থানীয় চেয়ারম্যান। পরে শেষ বিদায়ের সংগঠনের সভাপতিকে জানানো হয়। তারা বাদ আছর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন।





ওসমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল হক জানান, বুধবার ভোরে অ্যাম্বুলেন্সে সালেহ আহম্ম’দের লা’শ বাড়ি নিয়ে আসেন নূর আহম্ম’দ। কিন্তু লা’শের সঙ্গে স্ত্রী’-সন্তান না আসায় করো’নার ভ’য়ে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে যায়। এজন্য কেউ পাশে যায়নি।





মিরসরাইয়ের ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়ে শেষ বিদায়ের বন্ধু সংগঠনের সভাপতিকে জানানো হয়। তবে মৃ’ত ব্যক্তির করোনা পজিটিভ কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেননা মৃ’ত্যুর আগে নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।









